• মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১০০-তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী 

এই চীন মাও-এর নয়, এই পার্টি কমিউনিস্ট নয়

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১০০-তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী 

এই চীন মাও-এর নয়, এই পার্টি কমিউনিস্ট নয়

  আন্দোলন প্রতিবেদন  

বুধবার, ২৫ আগস্ট ২০২১  |  অনলাইন সংস্করণ

১ জুলাই’২১ ছিল চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১০০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯২১ সালে এই দিনে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হওয়ার পর বিভিন্ন বাম-ডান লাইনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ১৯৩৫ সালে সুনুই অধিবেশনের মধ্য দিয়ে চীনা পার্টিতে মাওয়ের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে চীনা পার্টি গণযুদ্ধের রণীতি-রণকৌশল এবং নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লবের কর্মসূচি নির্ধারণ করে। সকল প্রকার সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ উচ্ছেদের জন্য গণযুদ্ধ চালিয়ে ১৯৪৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে গণক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৫৩ সালের মধ্যে নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লব সমাপ্ত করে ১৯৫৬ সালের মধ্যে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। এবং সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে চীনের শ্রমিকশ্রেণি চীনা রাষ্ট্রের চালকের আসনে বসেছিল।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা চীনের শ্রমিক-কৃষক-শ্রমজীবী এবং সাধারণ জনগণের জীবন-জীবিকা এবং সাংস্কৃতিক মানের বিপ্লবী রূপান্তর ঘটিয়েছিল নারীদেরকে পুরুষদের সাথে সম-মর্যাদার আসনে বসিয়েছিল। আত্মনির্ভশীল শক্তিশালী সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করেছিল। সমাজতান্ত্রিক চীন তখন কমিউনিজমের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। স্ট্যালিনের মৃত্যুর পর সোভিয়েত রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির সংশোধনবাদী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সংগ্রাম পরিচালনা করতে হয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে। পাশাপাশি চীনা পার্টির ভেতর থেকে উদ্ভূত পুঁজিবাদের পথগামী লিউ শাওচী-লিন পিওয়াও-দেং-জিয়াও পিং-এর বিরুদ্ধে অবিরত সংগ্রাম পরিচালিত করতে হয়েছে। সমগ্র জনগণকে বিপ্লবী চেতনায় শাণিত করার জন্য মাওয়ের নেতৃত্বে  পরিচালিত হয় মহান সর্বহারা সাংস্কৃতিক বিপ্লব।

সাংস্কৃতিক বিপ্লবের দশ বছরে চীনের উৎপাদন প্রতিটি ক্ষেত্রে বহু বৃদ্ধি পেয়েছিল; কৃষি, শিল্প, প্রতিরক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বিকাশ হয়েছিল।

     ১৯৭৬ সালে চেয়ারম্যান মাও-এর মৃত্যুর পর সংশোধনবাদী হুয়া-দেং চক্র পার্টির মাও-অনুসারী চার শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করে তাদেরকে ‘চার কুচক্রী’ আখ্যা দিয়ে জেলে নিক্ষেপ করে। এবং সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ও গঠনকার্য সম্পর্কে মাওসেতুঙ চিন্তাধারা (মাওবাদ) বাতিল করে দেয়। তারা মাওবাদী সঠিক নির্দেশনাকে উল্টে দিয়ে বলেছে, সমাজতান্ত্রিক সমাজে “শ্রেণিসংগ্রাম চাবিকাঠি ও প্রধান নয়।”এভাবে চীনা সংশোধনবাদী নেতৃত্বরা শ্রেণিসংগ্রামকে বাতিল করে  চীনে পুঁজিবাদের পথ গ্রহণ করে। এবং ক্রমান্বয়ে চীনকে একটি পুঁজিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করে।

বর্তমানে কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী সংশোধনবাদী চীনা পার্টির নেতা শি জিং পিং-এর নেতৃত্বে পুঁজিবাদী চীন একটি সামাজিক সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রে রূপ নিয়েছে। পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী চীনে জাতিগত ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন চরম দমন-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। চীন এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজার দখলের তীব্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সাথে টক্কর দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী সংস্থা গঠন এবং রোডম্যাপ তৈরি করে বিশ্বকে তার কব্জায় আনার চেষ্টা করছে। শি জিং পিং ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্ব নেতা হওয়ার ঔদ্ধত্যপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে।

আমরা সারাবিশ্বের শ্রমিকশ্রেণি ও নিপীড়িত জনগণের প্রতি আহ্বান করছি চীনা পার্টির ১০০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মহান নেতা মাও সেতুঙের নেতৃত্বে চীন বিপ্লবকে উর্ধ্বে তুলে ধরুন এবং মাও মৃত্যু পরবর্তী সংশোধনবাদী দেং-জিয়াও পিং-এর ধারাবাহিকতায় শি জিং পিং-এর নেতৃত্বে পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী চীনকে উন্মোচন করুন এবং প্রত্যাখান করুন।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১০০-তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী 

এই চীন মাও-এর নয়, এই পার্টি কমিউনিস্ট নয়

 আন্দোলন প্রতিবেদন 
বুধবার, ২৫ আগস্ট ২০২১  |  অনলাইন সংস্করণ

১ জুলাই’২১ ছিল চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১০০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯২১ সালে এই দিনে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হওয়ার পর বিভিন্ন বাম-ডান লাইনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ১৯৩৫ সালে সুনুই অধিবেশনের মধ্য দিয়ে চীনা পার্টিতে মাওয়ের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে চীনা পার্টি গণযুদ্ধের রণীতি-রণকৌশল এবং নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লবের কর্মসূচি নির্ধারণ করে। সকল প্রকার সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ উচ্ছেদের জন্য গণযুদ্ধ চালিয়ে ১৯৪৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে গণক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৫৩ সালের মধ্যে নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লব সমাপ্ত করে ১৯৫৬ সালের মধ্যে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। এবং সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে চীনের শ্রমিকশ্রেণি চীনা রাষ্ট্রের চালকের আসনে বসেছিল।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা চীনের শ্রমিক-কৃষক-শ্রমজীবী এবং সাধারণ জনগণের জীবন-জীবিকা এবং সাংস্কৃতিক মানের বিপ্লবী রূপান্তর ঘটিয়েছিল নারীদেরকে পুরুষদের সাথে সম-মর্যাদার আসনে বসিয়েছিল। আত্মনির্ভশীল শক্তিশালী সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করেছিল। সমাজতান্ত্রিক চীন তখন কমিউনিজমের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। স্ট্যালিনের মৃত্যুর পর সোভিয়েত রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির সংশোধনবাদী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সংগ্রাম পরিচালনা করতে হয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে। পাশাপাশি চীনা পার্টির ভেতর থেকে উদ্ভূত পুঁজিবাদের পথগামী লিউ শাওচী-লিন পিওয়াও-দেং-জিয়াও পিং-এর বিরুদ্ধে অবিরত সংগ্রাম পরিচালিত করতে হয়েছে। সমগ্র জনগণকে বিপ্লবী চেতনায় শাণিত করার জন্য মাওয়ের নেতৃত্বে  পরিচালিত হয় মহান সর্বহারা সাংস্কৃতিক বিপ্লব।

সাংস্কৃতিক বিপ্লবের দশ বছরে চীনের উৎপাদন প্রতিটি ক্ষেত্রে বহু বৃদ্ধি পেয়েছিল; কৃষি, শিল্প, প্রতিরক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বিকাশ হয়েছিল।

     ১৯৭৬ সালে চেয়ারম্যান মাও-এর মৃত্যুর পর সংশোধনবাদী হুয়া-দেং চক্র পার্টির মাও-অনুসারী চার শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করে তাদেরকে ‘চার কুচক্রী’ আখ্যা দিয়ে জেলে নিক্ষেপ করে। এবং সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ও গঠনকার্য সম্পর্কে মাওসেতুঙ চিন্তাধারা (মাওবাদ) বাতিল করে দেয়। তারা মাওবাদী সঠিক নির্দেশনাকে উল্টে দিয়ে বলেছে, সমাজতান্ত্রিক সমাজে “শ্রেণিসংগ্রাম চাবিকাঠি ও প্রধান নয়।”এভাবে চীনা সংশোধনবাদী নেতৃত্বরা শ্রেণিসংগ্রামকে বাতিল করে  চীনে পুঁজিবাদের পথ গ্রহণ করে। এবং ক্রমান্বয়ে চীনকে একটি পুঁজিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করে।

বর্তমানে কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী সংশোধনবাদী চীনা পার্টির নেতা শি জিং পিং-এর নেতৃত্বে পুঁজিবাদী চীন একটি সামাজিক সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রে রূপ নিয়েছে। পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী চীনে জাতিগত ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন চরম দমন-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। চীন এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজার দখলের তীব্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সাথে টক্কর দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী সংস্থা গঠন এবং রোডম্যাপ তৈরি করে বিশ্বকে তার কব্জায় আনার চেষ্টা করছে। শি জিং পিং ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্ব নেতা হওয়ার ঔদ্ধত্যপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে।

আমরা সারাবিশ্বের শ্রমিকশ্রেণি ও নিপীড়িত জনগণের প্রতি আহ্বান করছি চীনা পার্টির ১০০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মহান নেতা মাও সেতুঙের নেতৃত্বে চীন বিপ্লবকে উর্ধ্বে তুলে ধরুন এবং মাও মৃত্যু পরবর্তী সংশোধনবাদী দেং-জিয়াও পিং-এর ধারাবাহিকতায় শি জিং পিং-এর নেতৃত্বে পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী চীনকে উন্মোচন করুন এবং প্রত্যাখান করুন।

আরও খবর
 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র